সপ্তর্ষি দাস, এই বাংলা : বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় শিউরে উঠছে কলকাতা।শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে অনতিদূরেই আরজি কর হাসপাতাল। সেই হাসপাতালেই কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন। যা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে গোটা রাজ্য। আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার করা হলো একজনকে। ধৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় রায়। রাতেই তাকে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর। ওই ব্যক্তি হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষী ছিল বলে জানা গেছে তবে হাসপাতালের সরকারি কোনো নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করতো না। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে সঞ্জয়ের বয়ানে প্রথম থেকেই অসংগতি ছিল। জিজ্ঞাসাবাদ পর্যায়ে প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন যে রোগীদের ভর্তি করেছিলেন তাদের খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন কিন্তু পুলিশ রোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানতে পারেন শেষ তিন দিনে ওই ব্যক্তি তাদের কাছেই যাননি। এরপরই পুলিশ চোখ রাখে সিসিটিভি ফুটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায় রাত ২.৩০ থেকে ৩ টে নাগাদ তিনতলার করিডরের চেস্ট বিভাগের সামনে দেখা যায় সঞ্জয় কে। যুবকের কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে ওই তরুণীর মুখ, পেট, গলায় ক্ষত চিহ্ন ছিল । এমনকি যৌনাঙ্গেও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। তবে কিভাবে সেসব ক্ষত তৈরি হয়েছে তা এখনো রিপোর্টে স্পষ্ট নয়। ক্ষত পাওয়া গেছে পা – গোড়ালিতেও। নখের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে শরীরে। অকথ্য অত্যাচার করে ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন ” অপরাধী যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি পায় সেটা আমরা দেখব। এটা অতি ঘৃণ্য অপরাধ,তাই সর্বোচ্চ শাস্তি যাতে হয় সেটা আমরা দেখব। ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে মামলা শুরু হয়েছে। তদন্ত চলছে, আশা করছি আরো তথ্য সামনে আসবে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে “।
