সপ্তর্ষি দাস, এয়ারপোর্ট গেটের তনুশ্রী মেমোরিয়াল হলে উজান সাংস্কৃতিক সংস্থার উদ্যোগে রবীন্দ্র নজরুল সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। সূচনা সংগীতের পর উজানের মূখ্য উপদেষ্টা দিলীপকুমার ঘোষ এবং সংস্থার সভাপতি বিশ্বনাথ মন্ডল দুই কবি মনীষকে নিয়ে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন। এরপর শুরু হয় বর্ণময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নাচ গান কবিতা কথায় মূর্ত হয়ে ওঠে দুই কবি মনীষীর সারস্বত জীবনের মানবতাবাদী কর্মকান্ড। কবিতার কোলাজ ও শ্রুতিনাটক নতুন বৌঠান ছিল এদিনের অনুষ্ঠানের সেরা নিবেদন। এছাড়া পায়েল মুখোপাধ্যায়, উমা ঘোষ এবং দিশা গোস্বামীর গানে মুগ্ধ হন উপস্থিত সবাই। গানে অন্যান্য শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন মেঘা চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের শিল্পী সুজয়া সাহা। গীতা সেনের পরিকল্পনায় দেবাঞ্জলি, প্রদীপ, পুরঞ্জয়, দেবযানী নন্দী, প্রশান্ত ও গীতা সেনের কবিতা কোলাজ নজর কাড়ে সবার। সোনাই সেনের নৃত্যানুষ্ঠান মন ছুয়ে যায় সবার। এছাড়া এনাক্ষী, দ্যূতিপ্রভা এবং রূপমের সম্মিলিত নাচের অনুষ্ঠানও প্রশংসা পায় সবার। একক নাচে অংশ নেয় রাজন্যা বৈদ্য। কবিতা পাঠে অংশ নেন ছবি দাস, কৃষ্ণা দাস, নিবেদিতা সরকার এবং অর্চনা দাস সহ খুদে শিল্পী জিনিয়া চক্রবর্তী। উজানের গীতি আলেখ্য ‘চেনার মাঝে অচেনাকে’ শিরোনামের সন্মেলক সংগীতে অংশ নেন শ্রুতি বিশ্বাস, সুমী চৌধুরী, অমিতা দাস, দেবযানী নন্দী, অনিতা দে, নিলীমা কর্মকার, নন্দিতা ব্যানার্জি, মিঠু বৈদ্য, মঞ্জুরী সামন্ত এবং গীতা সেন। ভাষ্যপাঠে ছিলেন প্রশান্ত সেন। তবলাসংগতে অমিত গোস্বামী এবং কীবোর্ডে সম্পদ মুখোপাধ্যায় যথাযথ ছিলেন। উজানের সংগীত পরিচালক কাঞ্চন গাংগুলীও তার ভূমিকার প্রতি ছিলেন যত্নবান। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বরুণ দাস। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌনে একশো সংস্কৃতিপ্রিয় মানুষ। কফি বিস্কুট আর গরম সিংগারা খেতে খেতে উজানের অনন্য সাংস্কৃতিক দৌরাত্ম্য উপভোগ করেন সব্বাই।
