দিশারীর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সংবর্ধিত হল কৃতি ছাত্রছাত্রীরা।

দিশারীর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সংবর্ধিত হল কৃতি ছাত্রছাত্রীরা।

সপ্তর্ষি দাস, ২৩ জুন দিশারী সাংস্কৃতিক সংঘের ৯ম বর্ষের সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে সংবর্ধিত হল বৃত্তি (২০২৩), মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক (২০২৪) এবং অংকন প্রতিযোগিতায় কৃতি ছাত্রছাত্রীরা। তাদের হাতে স্মারক, শংসাপত্র ও পুস্তক তুলে দেওয়া হয় এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গুণিজনেরা। নববারাকপুর কলোনি বয়েজ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক সৌরভ সমাদ্দার সহ শিক্ষক সন্দীপ মন্ডল, সত্যজিৎ রায়, নারগিস সুলতানা। এছাড়া ছিলেন স্থানীয় প্রাক্তন পৌরপ্রতিনিধি ও শিক্ষক আবদুল মান্নান, মেহবুব আলি, শান্তি বাবু, শেখর সেন, অমলকৃষ্ণ মজুমদার। এই অনুষ্ঠানে দিশারীর সভাপতি বিপ্লব দেবনাথ ও সহ সভাপতি মেহবুব আলম এবং সাংবাদিক বরুণ দাস উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি সংস্থার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সেখ সামিম আলি ও শুভানুধ্যায়ীরা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিশারী সাংস্কৃতিক সংঘ ও প্রগতিশীল মুসলিম সমাজ এর সম্পাদক রবিউল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা সহ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেংগল নলেজ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষাজীবী। মণিরুল ইসলাম হাসান। প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল শিবপদ কোচিং সেন্টার। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’/…’শিক্ষা আনে চেতনা৷ চেতনা আনে বিপ্লব’- এই বহুশ্রুত শিরোনামে বর্ণিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সকলে। উল্লেখ্য এদিন রবীন্দ্র নজরুল লালন পাঠাগারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাংবাদিক বরুণ দাস। অনেকেই আগ্রহ ভরে পাঠাগারের সংগৃহীত পুস্তকসম্ভার ঘুরে দেখেন। গরিব ও দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে আগামিদিনে প্রয়োজনীয় পাঠ্যবইও রাখা হবে বলে জানান পাঠাগারের পক্ষে রবিউল ইসলাম। এদিন পাঠাগারে পুস্তক দান করেন নববারাকপুর কলোনি বয়েজ স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ সহ প্রাক্তন শিক্ষাজীবী অমলকৃষ্ণ মজুমদার। দুটি সিলিং ফ্যান দান করেন মহম্মদ আলি, এবং আর্থিক সাহায্য করেন শান্তি বাবু, অমলকৃষ্ণ মজুমদার প্রমুখ। পরে বর্ণময় নাচগানের অনুষ্ঠানে অংশ নেয় নীলাঞ্জনা পারভিন, সোহানি পারভিন, লিসানি পারভিন, রিয়া রায়, আনিসা খাতুন,আতিফা আহমেদ, সায়ন্তিকা পাল, রিফা তাপসিয়া সহ আরও অনেকে। সংগীতে ছিলেন সেখ আবদুল্লাহ,আজহারউদ্দীন, বিশ্বজিৎ দাস, মহম্মদ লতিফ, শংকর রায়, পানিহাড়া-তালধারিয়া ৬ কোনা মোড়ে অনুষ্ঠিত এই সুন্দর অনুষ্ঠানটি ছিল মূলত তালধাড়িয়া-পানিহাড়া-কাপাসিয়া এই তিনগ্রামের মিলিত সাংস্কৃতিক প্রয়াস। তবে আয়োজকদের আপসোস,এদিন শ্রোতা দর্শকদের উপস্থিতি ছিল অপেক্ষাকৃত কম। তাদের প্রশ্ন, শিশুর মানসিক বিকাশ সহ শিক্ষার সম্পূর্ণতা আনে বহুমুখী সাংস্কৃতিক করমকান্ড। একথা আর কবে বুঝবেন এখানকার অভিভাবকেরা? মধ্যমগ্রাম পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত প্রান্তিক এলাকায় সমমনস্ক কতিপয় যুবকের সাহায্য ও সহযোগিতা নিয়ে যে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন রবিউল ইসলাম তাকে নিজেদের সন্তানের স্বার্থেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এলাকার প্রতিটি মানুষের সারস্বত দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে তারা এগিয়ে এলেই মংগল একথা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *