মৌমিতা ভট্টাচার্য West Bengal Weather Update for Cyclone ‘Remal’ খুব ধীর গতিতে সরছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ‘রেমাল’(Remal), সে এখন তীব্র ঘূর্ণিঝড় থেকে বদলে হয়েছে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়। তাও যেন সে বঙ্গবাসীকে বলছে- “পিকচার আভি বাকি হ্যেয়”(Picture abhi baki hya)।
রবিবার রাতেই ল্যান্ডফল (landfall) হওয়ার কথা ছিল ‘রেমাল’(Remal)-এর। ল্যান্ডফলের (landfall) সময় তার গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার (120-130k.m./hr.) হওয়ার কথা বলেছিল মৌসম ভবন (Mausam Bhawan)। কিন্তু ল্যান্ডফলের সময় ‘রেমাল’ (Remal)-এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার (11k.m/hr.)। আজ সকালে তার গতিবেগ হয়েছে ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার (15 k.m./hr.)। অথচ আম্ফাণের (Amphan) ল্যান্ডফলের সময় (Landfall timing) তার গতিবেগ ছিল ২৮ কিমি প্রতি ঘণ্টা (28k.m./hr.), পরে যা হয়েছিল ৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা (30k.m/hr.)। তবে ‘রেমাল’(Remal)-এর এই ধীর গতিতে এগোনোর কারণে আজ সকাল থেকেও ঝোড়ো হাওয়ার যথেষ্ট দাপট দেখা যাচ্ছে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই। ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর (Cyclone ‘Remal’) জেরে কোথাও পড়ছে গাছ, কোথাও বা ভাঙছে মাটির দেওয়াল, কোথাও আবার উড়ে যাচ্ছে টিনের ছাদ। ‘রেমাল’(Remal)-এর পূর্বাভাস শুনে প্রথম থেকেই তুলনা চলছিল ‘আম্ফান’(Amphan)-এর সঙ্গে। আম্ফান যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল, ‘রেমাল’(Remal) কি পারবে তাকে টক্কর দিতে এই প্রশ্নও উঠেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ‘রেমাল’ (Remal) ‘আম্ফান’ (Amphan)-কে টেক্কা দিতে না পারলেও, ‘রেমাল’ (Remal)-এর ধীর গতি বাংলার জন্য কাল হতে পারে। ‘আম্ফান’ (Amphan) সন্ধ্যায় তান্ডব চালালেও, পরদিন থেকে আকাশ কিন্তু মেঘমুক্ত হয়ে গিয়েছিল। এক্ষেত্রেই তফাৎ ‘আম্ফান’ (Amphan) ও ‘রেমাল’ (Remal)-এর। তাই রবিবার রাতের পর ‘রেমাল’ (Remal) সামান্য শক্তি কমিয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড় থেকে সাধারণ ঘূর্নিঝড়ে পরিণত হয়েছে। উপকূল থেকে এখনও বেশি ভিতরে ধোকেনি সে। যত স্থলভাগের দিকে ঢুকবে ততই জলীয়বাষ্পের জোগান কমবে। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয়বাষ্প পেয়েই ঘূর্ণিঝড়ের এত দমক থাকে। তাই স্থলভাগে ঢুকে একদফা শক্তি ক্ষ্য হয়েছে ‘রেমাল’(Remal)-এর। ‘আম্ফান’ (Amphan) খুব তাড়াতাড়ি কোস্ট থেকে ভিতরে ঢুকেছিল, তাই রাতেই তার তোলপাড় সেরে ফেলেছিল। কিন্তু ‘রেমাল’ (Remal)-এর ধীর গতির কারণে সোমবার এখনও পর্যন্ত তার দাপ্ত চলছে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গে।